Monday, 25 March 2019

নীল ডায়েরি থেকে > "লিস্ট" নংঃ ৪০ দ্যা রেইপ (পর্ব - ০৩) #সাইকো এই নিয়ে চতুর্থবার বাজল কলিং বেল । চোখ কচলাতে কচলাতে উঠে বসে তিয়াস । হাই ঠেকাতে মুখের সামনে নিয়ে এসেছে একটা হাত । গতকালের রাশিয়ান ভদকার ধাক্কা এখনও কাটে নি । টলোমলো পায়ে দরজার দিকে এগিয়ে যায় ও । তিনজন পুলিশ, দুইজনের হাতে পিস্তল, উদ্যত । তৃতীয়জন এই মাত্র মাথা থেকে ক্যাপ সরালো । তারপর ঝকঝকে একটা হাসি উপহার দেয় তিয়াসের দিকে তাকিয়ে । ‘মি. তিয়াস ?’, একবার হাতের কাগজে নামটা দেখে নেয় সে, ‘সালেহ মোহাম্মদ শোয়াইব তিয়াস ?’ কাঁধ ঝাঁকায় তিয়াস, ‘হ্যাঁ-আআআআম ।’ দ্বিতীয়বারের মত মুখের সামনে হাত নিয়ে এসে উদগত তৃতীয় হাইটিকে ঠেকায় ও । ‘হাতে কি আছে দেখতে পাচ্ছেন তো ?’, চোখের সামনে কাগজ দোলালো মানুষটা । ‘পরিষ্কার । তুলা রাশি, জন্মলগ্নে গ্রহ দেখতে পাচ্ছি । এই সপ্তাহে একবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন । আয়ু স্বল্প, চল্লিশে পৌঁছানোর আগেই অভিযানে মহাযাত্রা করবেন । প্রেমিকার কাছে ছ্যাঁকা খাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল, বিপদ এড়াতে মধ্যমাতে ঝোলাতে হবে নীলা । বাম হাতের । ’ পিস্তল ধরা পুলিশদের একজন হা হয়ে গেছে । আরেকজনও আপাতদৃষ্টিতে হা হল, তারপর হা করার কারণটা বোঝা যায় । বাজখাঁই হুংকারটা তিয়াসের কানের পর্দা ফাটিয়ে দেয়, ‘মাদারচো-’ নেতাটি এক হাত তুলতেই থেমে গেছে অবশ্য ছোট পুলিশ । ‘এটা একটা ওয়ারেন্ট, স্যার । আমরা আপনার বাসাতে সার্চ চালাবো ।’ ‘নোপ প্রব –আআম ।’, আরেকটা হাই তুলে বলে তিয়াস । সুড় সুড় করে ভেতরে ঢুকে গেল তিন পাপিষ্ঠ । দুই পা গিয়েই একজন আবার ফিরে আসে অবশ্য, পিস্তলের নল আবারও ঘুরিয়ে ফেলেছে তিয়াসের দিকে, ‘আপনি আমার সাথে এখানে বসছেন ।’ ‘শিওর ।’ ঠিক ত্রিশ মিনিটের মাথাতে পুলিশের গাড়ির পেছনে বসে থানার দিকে রওনা হতে দেখা গেল সালেহ তিয়াসকে । cialis new c 100 * ‘কাল রাতে আপনার সাথে কে ছিল ?’ ‘আমি একাই ছিলাম ।’ ‘গতকাল সন্ধ্যাতে আপনি কোথায় ছিলেন বলবেন কি ?’ ‘উমম, ঠিক কয়টার কথা বলছেন, তখন একটু বাইরে ছিলাম ।’ ‘সাতটা ?’ ‘মামা চটপটির দোকানে । এটা হল আপনার ওভারব্রীজের গোড়াতে – মালি-’ হাত তুলে তাকে থামায় অফিসার, ‘আমি জানি । ওখানে কেউ আপনাকে দেখেছে ?’ ঘাড় চুলকালো তিয়াস, ‘আর কেউ না দেখলেও মামা তো দেখেছেই ।’ ‘আমরা পরে সেটা দেখব । এর পরে আপনি কোথায় ছিলেন ?’ প্যান্টের ভেতরে হাত একটু ঢুকিয়ে ঘ্যাস ঘ্যাস করে চুলকায় তিয়াস, ‘বাসাতে ।’ ‘হাত সরান ।’ ‘জ্বি ?’ ‘পাছার খাঁজ থেকে হাত বের করুন ।’ ‘ও – সরি ।’, বাধ্য ছেলের মত হাত বের করে ও । ‘আপনি বলতে চাইছেন, আপনার সাথে গতকাল আর কেউ ছিল না ?’ সোজা হয়ে বসে তিয়াস প্রথমবারের মত, ‘কি ঘটছে আমাকে কি বলবেন, অফিসার ?’ পাত্তাই দিল না লোকটা, ‘মনে করার চেষ্টা করে দেখুন, আপনার সাথে আর কেউ ছিল কি না ? আমাদের কাছে তথ্য আছে, আপনি আপনার এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন ।’ ‘আমি গতকাল কারও সাথে দেখা করতে যাই নি । আপনি কার কথা বলছেন ?’ হেলান দিয়ে বসে পুলিশটি, ‘আপনার বন্ধু তারেক আল জাবেরের সাথে দেখা হয়েছে ইদানিং কালের মধ্যে ?’ একটু মনে করার চেষ্টা করে তিয়াস, ‘ছয় বা সাতদিন আগে শেষ দেখা হয়েছে ওর সাথে । কেন, অফিসার ? ওর কোন কিছু হয়েছে ?’ গলাতে উদ্বেগটা ফোটানোর ক্ষেত্রে কোনরকম কমতি ছিল না তিয়াসের, অফিসারকে দেখে অবশ্য মনে হয় না বিন্দুমাত্র প্রভাবিত হয়েছে সে । ‘তারপরে ? কোথায় ছিলেন চটপটির দোকান থেকে বের হয়ে ?’ ‘বাসাতে । আমার দাড়োয়ানকে প্রশ্ন করে দেখলেই পারেন । অযথা বার বার এক প্রশ্ন করার মানে কি ?’, হাল্কা রাগ ফুটে ওঠে তিয়াসের কণ্ঠে এবার । দীর্ঘ একটা মুহূর্ত তার দিকে তাকিয়ে থাকে অফিসার, ‘আপনার বাসাতে ভদকার দুটো বোতল পাওয়া গেছে ।’ ‘বার থেকে কিনেছি । লিগাল বার । আপনি কি রিসিপ্ট দেখতে চান ?’ ‘সার্চ পার্টি আপনার রিসিপ্ট পেয়েছে । আমি বলছি না অবৈধ ওগুলো । কিন্তু আপনার সাথে যে ড্রিংকারটি ছিল তার ব্যাপারে জানতে চাইছি আমি ।’ ‘কেউ ছিল না ।’ ‘বলতে চাইছেন আপনি একাই দু বোতল মেরে দিয়েছেন ? কংগ্র্যাচুলেশন্স ।’, সন্দেহ ঝরে পড়ে লোকটার কণ্ঠ থেকে । ‘গাড়ি চালাচ্ছিলাম না গিলে – কাজেই আমাকে আটকানোর কোন অধিকার আপনাদের দেখছি না ।’ ‘আপনি কি বলতে চান, আপনার ওপর কিছু মেডিকেল চেক আপ করলে এটাই প্রমাণ হবে এক রাতে দুবোতল ভদকা পান করেছিলেন ?’ সরাসরি তাকায় তার দিকে তিয়াস, ‘এক রাতে ? কখন বলেছি আমি গতকালই দু বোতল ভদকা খেয়েছি ? টাকার গাছ নেই আমার স্যার ! রিসিপ্টের ডেট দেখেছিলেন ?’ সামনের কাগজে একবার চোখ বোলায় অফিসার, ‘ছয় দিন আগে ।’ ‘গত পাঁচ দিন আমি বোতল দুটোর পূজো করছিলাম না । এই গ্যারান্টি আপনাকে দিতে পারি ।’ অফিসারের মুখ বন্ধ হয়ে গেছে । ‘এখন প্লিজ বলুন আমার ফ্রেন্ড কোথায় আছে ? ও কি কোন ঝামেলাতে জড়িয়েছে ?’ মাথা নাড়ে পুলিশটি, ‘ঝামেলাতে যে সে জড়িয়েছে সে ব্যাপারে আপনার চেয়ে ভাল কে জানে ? কিন্তু অযথাই তাকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন আপনি ।’ একে অন্যের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে ওরা । তিয়াস জানে, এই জেরা কেন চলছে । গতকাল খুন হয়েছে তারেকের গার্লফ্রেন্ড । একই বিল্ডিংয়ের নিচে গার্ডের লাশ আর ওপরে অগ্নিদগ্ধা আরেকজন তরুণী – কাকতাল বলে মেনে নেবে না পুলিশ । পরবর্তীতে মেডিকেল রিপোর্টে আসবে গার্ডের কজ অফ ডেথ অ্যানাফিলাক্সিস । মেয়েটির – অ্যাকসিডেন্ট । গ্যাস পাইপ কাটার সময় চুলার অংশে কেটেছে ওরা । বিল্ডিংয়ের মেইন গ্যাস লাইনের যে অংশটা রান্নাঘরে বের হয়ে থাকে – ও জায়গা থেকে শুধু চুলার কাটা অংশটা পেচিয়ে খুলে নিয়েছে । কেউ ধরতে পারবে না কাজটা করা হয়েছে ইচ্ছেকৃতভাবে । হ্যাঁ, সন্দেহ হবে । সন্দেহ হতেই পারে । কিন্তু পৃথিবীতে সন্দেহের রেশ ধরে কাওকে বিচার করা হয় নি কখনও । puedo quedar embarazada despues de un aborto con cytotec ‘আপনার বন্ধু গতকাল রাতে অবসরপ্রাপ্ত কমিশনার রাহাত আলমের মেয়েকে খুন করেছে । মেয়েটার বয়ফ্রেন্ড ছিল সে । আর কারও কোন মোটিভ দেখলাম না কাজটা করার ।’ ‘খুন ? তারেক ?’, এবার ঘর কাঁপিয়ে হেসে ওঠে তিয়াস, ‘বিগেস্ট জোক অফ দ্য ডেয়াআআম …’ পরের হাইটা ঠেকায় ও । ‘আমার বন্ধুটিকে যে চট করে খুনী বলে দিলেন – কোন প্রমাণ আছে ? নাকি শুধুই সন্দেহের তালিকাতে তুলে রেখেছেন বলে এই খেতাব লাগিয়েছেন ? আমি এটাকে অফেন্সিভ দেখতে পাচ্ছি, স্যার ।’ ‘হি ইজ আওয়ার প্রাইম সাসপেক্ট ।’ ‘প্রমাণ আছে ?’, দ্বিতীয়বারের মত প্রশ্নটা করে তিয়াস । চুপ হয়ে থাকে অফিসার । ‘আমার বিরুদ্ধে যদি এবার আপনাদের কোন অভিযোগ না থাকে তাহলে উঠতে পারি তো ?’, জবাবের অপেক্ষাতে না থেকে উঠে দাঁড়ায় তিয়াস । নির্দ্বিধাতে এগিয়ে যায় দরজার দিকে । পেছন থেকে চেয়ার সরিয়ে উঠে দাঁড়ায় অফিসারটিও, ‘এটাও হয়ত আপনার জানা, তবে আপনার বন্ধুটিকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ।’ তিয়াস ঘুরে তাকায়, ‘তারেকের অভ্যাস আছে মাঝে মাঝে দিন কয়েকের জন্য বাড়ি না ফেরার । চারদিনেও যদি না ফেরে তবে অস্বাভাবিক বলে ধরে নিতে পারেন ।’ irbesartan hydrochlorothiazide 150 mg হতবুদ্ধি অফিসারের সামনে দিয়ে বের হয়ে দড়াম করে দরজা লাগিয়ে দেয় ও । চারপাশে লক্ষ্য করে দেখে, কেউ আটকাতে আসল না ওকে ।


via Facebook https://ift.tt/2WlioVx

No comments:

Post a Comment