Wednesday, 15 March 2017

কিছু বন্ধুত্ব এমনই হয়

শান্ত ক্যাম্পাসে ক্যান্টিনে বসে
মোবাইল কথা বলছে আর চা খাচ্ছে।এমন
সময় সকাল পিছন থেকে ওকে থাপ্প্র
দিয়ে বলল কী রে এখানে বসে
থাকবি না কি?
আজকে নবীন বরণ।
সকাল:চল আজকে ফুল দিয়ে আমাদের
জুনিয়ারদেরকে বরণ করি।
শান্ত: ধুর! আজকাল এসব কাজও করতে হয়
সকাল: চল চল,,,,,


শান্ত, সকাল সবার মত করে হাতে
রজনীগন্ধা ও গোলাপের স্টিক নিয়দ
দাঁড়িয়ে পড়ল।সবাই ক্যাম্পাসের
ভিতরে যাচ্ছে আর জুনিয়ারদেরকে
বরণ করছ্র।এমন সময় দূর থেকে শান্ত এর
চোখে একটি মেয়ে পড়ল।মেয়েটি খুবই
সাদা-সিদে।চুলগুলো তার খোলা এবং
সে মোবাইল হাতে নিয়ে কি যেন
করছে আর সামনে আসছে।শান্ত তার
দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে রইল।যখন
মেয়েটি তার পাশে গেল শান্ত তার
হাতে ফুল দিতে গিয়ে যেন স্তব্ধ হয়ে
গেল।
অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেল।শান্ত সেই
মেয়েটিকে খুঁজছে।কিন্তু পেল না।
শান্ত ক্লান্ত হয়ে সে হাঁটুতে হাত
দিয়ে হাঁফ ছাড়ল।আর তখনি সে দেখল
তার ঠিক সামনে মেয়েটা বসা।আর
তার মুখে এক হাসি।
শান্ত মেয়েটিকে ভাল করে দেখল।
দেখল সকাল সেই মেয়েটি বসে আছে।
আর তখন সে যেন আরো খুশি হয়ে গেল।
সকাল কথা বলেই যাচ্ছে আর মেয়েটা
শুঞ্চহে।অনুষ্ঠান শেষে সকাল
মেয়েটিকে বলল জানবী পড়ে কথা
হবে। মেয়েটি হাসি দিয়ে চলে গেল।
শান্ত:দোস্ত মেয়েটি কে রে?
সকাল:কেন?কি হয়েছে?
শান্ত:বল না প্লিজ।
সকাল:আমার gfকেন?
শান্ত:ওহ!বললি না তো।
সকাল:হা হা দোস্ত এরকম gfবানাইতে
বয়ে গেছে।
শান্ত: কেন?কি করল?কি খারাপ আছে?
সকাল:আরব বোবা মেয়ের সাথে কে
লাভ করবে।
শান্ত:কি??? তাহলে তুই যে কথা বললি?
সকাল:আরে সব উত্তর ওর পাশের মেয়ে
দিয়েছে।
শান্ত:ওহ!
সকাল:যাই পড়ে কথা হবে।
আজ ২দিন ধরে শুধু ওই মেয়েটির কথাই
ভাবছে শান্ত।আর খুব কষ্ট হচ্ছে এই ভেবে
যে সে বোবা।সারাক্ষণ শুধু ওই
মেয়েটির কথা।
তাহলে কি ওকে লাভ করে ফেলল?
৭দিন পর।
সকাল ও শান্ত লাইব্রেরিতে বসে
আছে।আর ঠিক তখনি মেয়েটি আসল। আর
মেয়েটি একটি বই নিয়ে তার সামনের
টেবিলে বসে পড়তে লাগল।শান্ত সেই
মেয়ের দিকে তাকিয়ে ভাবছে কেন
এমন হচ্ছে।
সকাল:কি রে?কি দেখিস?
শান্ত:কই কিছু না তো।
এভাবে চলতে থাকে।লুকুচুরি আজ প্রায়
১মাস পার হয়ে গেল কিন্তু আজও বলা
হয়নি।শুধু দূর থেক্ব দেখা।
রাত১২টা তখন শান্ত fbতে ঢুকল আর দেখল
সকাল একটি মেয়ের ছবিতে লাইক
দেয়েছে।চেক করে দেখল তাদের
সাথেই সে রিকু দিল আর এক্সেপ্ট।
তাদের মধ্যে প্রাথমিক কথা হল।
৩ দিন পর।
শান্ত:দোস্ত মেয়েটি কে রে?
সকাল:ওহ!আরে এটাই তো জানবী।
শান্ত খুশিতে আত্নহারা।
শান্ত রাতের অপেক্ষায় আছে কখন সে
কথা বলবে।
শান্ত:তুমি কি জানবী
জানবী:হা।।কি করে জানলেন?
শান্ত:সকাল বলেছে।
জানবী :ওহ!
শান্ত:কিছু মনে কর না তুমি নাকি কথা
বলতে পার না?
জানবী:হা।।।
পরদিন।
শান্ত:দোস্ত আমি ওকে ভালবাসি
সকাল:কাকে?
শান্ত:জানবী কে।
সকাল:ভাল তো। দেরি কেন বলে ফেল।
শান্ত:দোস্ত কি করে বলি?
সকাল:আচ্ছা চল আজকে সবাইকে
ডাকি। সবাই আড্ডা দিই।
যা বলা তাই করা।
সবাই আসল। আর জানবীও।
আড্ডা এর মাঝে শান্ত মেয়েটিকে
বলল যে তোমার সাথে কথা আছে।
শান্ত কথা শুনছে না বলে।শান্ত
সকালকে বলল।
সকাল মেয়েটিকে নিয়ে গেল আর বলল
এবার তোরা কথা বল।কিন্তু মেয়েটা
সকাল এর হাত ধরে ফেলল।
তখন সকাল বলল ভয় নেই।
শান্ত;আমি জানি তুমি কথা বলতে
পার না তবুও আমি তোমাকে
ভালবাসি।
তখন জানবী সকাল কে টেনে নিয়ে
গিয়ে বলল
জানবী:আমি তোমাকে ভালবাসি।
শান্ত:তুমি কথা বলতে পার।
সকাল তুই তো কিছুই বলিস নি।
সকাল:দোস্ত আমিও জানি না।আর তুমি
আমাকে ভালবাস মানি।
জানবী:হা তোমাকে আমি প্রথম
থেকে লাভ করি।তোমাকে আমি
বলতে চেয়েছিলাম আমি কথা বলতে
পারি কিন্তু বলি নি।কিন্তু আজ না
বলে পারলাম না।
সকাল;কিন্তু আমি তোমাকে করি না।
কারন কিছু এস এম এস এর মাঝে লাভ হয়
না।
এই বলে সকাল চলে গেল।
জানবী কান্না করছে।আর শান্ত যেন
বোকার মত সব দেখছে।
শান্ত কিছু বলার আগে জানবী চলে
যায়।
তার পর শান্ত প্রায় ১৫ দিন কথা বলে
না।
শান্ত ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখে
জানবী কাঁদছে।
শান্ত:তুমি কাঁদছ কেন?
জানবী:তা দিয়ে আপনি কি করবেন।
শান্ত :আমাকে প্লিজ বল।
জানবী : কিছু না
জানবী চলে গেল।কিন্তু ওর এভাবে
চলে যাওয়া শান্তকে অনেক কথা বলে
দিল।
শান্ত সকাল কে ফোন দিয়ে আসতে
বলল।
সকাল এর সাথে প্রায় অনেকক্ষন কথা
বলল।কি যেন বুঝাচ্ছে।
এই বলে শান্ত চলে গেল।
সকাল বলল দেখ এভাবে কেন চলে
যাবি।আর আমি যদি না পারি?শান্ত
বলল পারতেই হবে।
এই বলে শান্ত চলে গেল বাহিরে।সে
এখন চাকুরী করে।
আর এদিকে সকাল ও শান্ত সম্পক নাকি
ভাল যাচ্ছে।কিন্তু এর মাঝে ২ বছর
শান্ত কেমন আছে কেউ জানে না।
শান্ত কাউকে বলে নি।
হঠাৎ সকালের ফোনে একটা অচেনা
নাম্বার ফোন।
সকাল:হ্যালো কে?
শান্ত:দোস্ত আমি।।ভুলে গেলি?
সকাল:দোস্ত তুই কোথায়?
শান্ত :আছি।
সকাল:তুই কোথায়আমাকে বল আসছি।
শান্ত:হা আয় আমি ভাসিটি তেই
আছি।
সকাল:ওকে।
সকাল খুশি হয়ে দেখা কিরতে গেল।
২জন মাঠে বসে আছে।
সকাল:কি রে তুই কোথায় কি খবর?
শান্ত:এই তো। তা তুই কেমন আছিস?
সকাল:ভাল।
শান্ত:আর জানবী।
সকাল:হা ভাল।আমি আজও ওকে বলেনি
যে আমি ওকে লাভ করি শুধু তুই বলার
জন্য।সেদিন তুই আমাকে যদি আমাদের
বন্ধুত্ব না আনতি তাহলে আমাকে আজও
নাটক করতে হত না।
শান্ত:জানি। কিন্তু ওকে আর বলিস না।
সকাল :হা।
এমন সময় পিছন থেকে কেমন জানি
কান্না শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।একি এটা
তো জানবী।
জানবী দৌড়ে চলে গেল।
শান্ত:জানবী দাঁড়াও।
সকাল:দোস্ত সত্য কোখনো চাপা
থাকা না।
শান্ত:না। প্লিজ তুই বাজে বলিস না।
আমি আজি চলে যাব।
সকাল:কোথায়?
শান্ত :জানি না। কিন্তু চলে যাব।
শান্ত চলে আসল।শান্ত এখন ট্রেনের
সামনে।
সকাল কে শেষ বার দেখা করতে বলল।
শান্ত:দোস্ত চলি রে। তোদের মাঝে
আসা আমার উচিৎ হয় নি।আমাকে মাফ
করে দিস।চলি।
সকাল:দাড়া তোর সাথে কথা বলবে।
শান্ত:কে?
সকাল:এদিক এসো।
শান্ত অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
এটা জানবী।চোখে জল।
শান্ত:আমাকে ক্ষমা করে দাও।
জানবী:চুপ।বেশি বুঝ?আরে আমি জানি
সব।আমি না হয় বুঝি নই।কিন্তু তুমি
পারতে না একটু বুঝতে। যে আমি ভুল
করছি।
শান্ত :কি
জানবী :হা।। আমাকে সকাল সব
বলেছে।জোর করে ভালবাসা হয় না।
তাই এতটি দিন বসে ছিলাম।
সকাল:হা ও এখন তোকে লাভ করে।আর
বুঝতে পারে যে তুই কত টা
ভালবাসিস।
শান্ত:কান্না করে যাচ্ছে।
জানবী:আর একটী বার বলবে না?
শান্ত:আমি তোমাকে ভালবাসি।
জানবী :আমিও।
এই বলে তারা জড়িয়ে কান্না করতে
লাগল।
কিন্তু কেউ আর সকাল এর কথা ভাবল না।
আর কেউ বুঝল না যে সকাল এই ২বছর
জানবীকে ভালবেসে ফেলেছে।আর
সেই ট্রেনে আজ শান্ত এর জায়গায়
সকাল।

No comments:

Post a Comment